গাজীপুরে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের পর হত্যার ৯বছর পর গ্রেপ্তার প্রেমিক।

0

 

গাজীপুরে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের পর হত্যার ৯বছর পর গ্রেপ্তার প্রেমিক।

মো: আব্দুল বাতেন বাচ্চু,
নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের পর হত্যার ৯বছর পর গ্রেপ্তার প্রেমিক।
গাজীপুরের শ্রীপুরে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামি আব্দুল লতিফকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। তিনি ৯ বছর পালিয়ে ছিলেন। ওই মামলায় মোট চারজন আসামির মধ্যে দুজন মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত হয়ে ইতোমধ্যে কারাগারে রয়েছেন।

গ্রেপ্তার আব্দুল লতিফ (৩৫) উপজেলার বমরী ইউনিয়নের কাদিরাপাড়া এলাকার মো. ছফুর উদ্দিনের ছেলে। শনিবার রাতে লতিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে রোববার দুপুরের দিকে সাংবাদিকদের জানান শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম।

তিনি আরও জানান, ২০১৪ সালে বরমী ইউনিয়নের আবুল কালাম নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় রাজশাহী জেলার রুপালি নামে এক পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকের। আবুল কালাম ঢাকার সাভারের নবীনগর এলাকায় ফুটপাতে বসে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। সেই সুবাদে রুপালি মাঝেমধ্যে আবুল কালামের দোকানে আসতেন। এভাবে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘটনার জেরে আবুল কালাম রুপালিকে বিয়ের কথা বলে বরমী এলাকায় নিয়ে যান। বৃষ্টির মধ্যে রুপালিকে নিয়ে একটি বাগানবাড়িতে অবস্থান করেন। এর কিছুক্ষণ পর একই স্থানে এসে জড়ো হয় আবুল কালামের বন্ধু ইকবাল হোসেন, আব্দুল লতিফ ও মোকলেছুর রহমান। এর কিছুক্ষণ পর শুরু হয় রুপালির ওপর শারীরিক নির্যাতন। পালাক্রমে ধর্ষণের পর রুপালিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন তাঁরা। পরে পুলিশ ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে অজ্ঞাত হিসেবে ওই নারীর মরদেহ দাফন করে। দাফনের দুই দিন পর নিহতের বাবা গাজীপুর আদালতে গিয়ে আইনের মাধ্যমে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এরপর হত্যাকান্ডের বিষয়টি বেরিয়ে আসে। পরে নিহতের বাবা প্রেমিক আবুল কালামসহ চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি আবুল কালাম ও তাঁর এক সহযোগী ইকবাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। তারা ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত । অপর আসামী মোকলেছুর রহমান পলাতক রয়েছেন। তাঁদের সবার বাড়ি বরমী ইউনিয়নের সিটপাড়া গ্রামে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, এ ঘটনার পর থেকেই আব্দুল লতিফ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৯ বছর আত্মগোপনে ছিল। রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed