১৭ মাস পর খুলল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

মোঃ জনি হাসান গাজীপুর প্রতিনিধিঃ

গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে করােনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় । ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানায় রােগতত্ত্ব , রােগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ( আইইডিসিআর ) । মরণ ভাইরাসটির বিস্তার রােধে ওই বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘােষণা করে সরকার । এরপর সংক্রমণ পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি না হওয়ায় দফায় দফায় ছুটি বাড়ানাে হয় । চলতি বছরের শুরুর দিকে সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও কয়েক দফা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিলেও শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি ।

১২ সেপ্টেম্বর( রবিবার)সারা বাংলাদেশের ন্যায় গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের স্কুলগুলোতে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য । সরকার স্কুল – কলেজ খােলার সিদ্ধান্ত জানানাের পর ঢাকাসহ সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রস্তুতি শুরু হয় । তারি ধারাবাহিকতায় গাজীপুরের শ্রীপুরের সকল স্কুলগুলোতে নেয়া হয় প্রস্তুতি। সরকারের নির্দেশনা মােতাবেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলােতে শুরু হয় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম । দেয়ালে বসানো হয়েছে বিভিন্ন ধিক নির্দেশনা। রুমের বাহিরে ডাস্টবিন। ক্লাস রুমে রাখা হয় হেন্ডসেনিটাইজার।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় আজ গাজীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রদান শিক্ষক মো মফিজ উদ্দিন ছাত্র,ছাত্রীদের নিরাপদ দূরত্বে সারি করে টেম্পারেচার মেপে ক্লাস রুমে প্রবেশ করাচ্ছেন। তার আগে তিনি ছাত্র, ছাত্রীদের সেনিটাইজ সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেন।
অন্য দিকে পূর্ব নিজমাওনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার একই ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। ছয় ফুটের বেঞ্চে দুজন করে বসানাে হয় । সরকারি নিয়ম মােতাবেক প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দুটি বিষয়ে ক্লাস নেওয়া হয়। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে কেনা হয়েছে সুরক্ষা সামগ্রী । নিয়মিত বিদ্যালয়ের ভেতর ও বাইরে পরিষ্কার – পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হয় । করােনা ও ডেঙ্গু থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রাখতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল আমীন বলেন, ইতোমধ্যে উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে সরকারের নির্দেশনা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও বিদ্যালয় চলাকালীন স্বাস্থ্য বিধি মানার বিষয়ে মনিটরিং করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed