শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে প্রতীকী অনশন করেছে জবি শিক্ষার্থীরা।
শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে প্রতীকী অনশন করেছে জবি শিক্ষার্থীরা।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে প্রতীকী অনশন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে এই প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের দ্রুত পদত্যাগ দাবি করেন।
অনশনে শিক্ষার্থীরা বলেন, শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ওপরে যে ন্যক্কারজনক পুলিশি হামলা হয়েছে তা সারা বিশ্ব দেখেছে। শিক্ষার্থীদের অনশনের ১২০ ঘণ্টা হলেও নির্লজ্জ ভিসি গদিতে বসে আছে। এই স্বৈরাচারী ভিসির কারণে এই হামলা হয়েছে তার দ্রুত অপসারণই চলমান সংকটের একমাত্র সমাধান। অন্যথায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা কঠিন আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
৩য় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন- একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হয়ে যে শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করাতে পারে। এমন ভিসি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাম্য নয়। অনতিবিলম্বে আমরা স্বৈরাচারী ভিসির পদত্যাগ দাবি করছি।
প্রসঙ্গত, ১৩ জানুয়ারি রাত থেকে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট বডির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ছাত্রীরা। এই আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ছাত্ররাও এতে অংশ নেয়। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ। তখন ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা। পরের দিন ভিসি আইসিটি ভবনে গেলে তাকে সেখানে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পুলিশ গিয়ে অবরুদ্ধ ভিসিকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। এ ঘটনার পর ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। আমরণ অনশনে বসেন ২৩ শিক্ষার্থী। পরে তাদের সঙ্গে আরও ৫ শিক্ষার্থী যোগ দেন।
অনশনে অংশ নেয়া ১৯ জন শিক্ষার্থী বর্তমানে হাসপাতালে আছেন। বাকি ৯ জন ভিসির বাসার সামনে অনশনস্থলে আছেন বলে আন্দোলনকারীরা নিশ্চিত করেছেন।