পাগলাপীরে মাদ্রাসার ছাত্র হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন।
পাগলাপীরে মাদ্রাসার ছাত্র হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন।
রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর :
রংপুর পাগলাপীরে মাদ্রাসার ছাত্র হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। রংপুর সদর উপজেলার ২নং হরিদেবপুর ইউনিয়নের পাগলাপীর নুরুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরাসার নাজরা বিভাগের ছাত্র মোঃ শাহিনুর ইসলাম (মাউন) (১২) হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৫ জুলাই ২০২৩) সকাল ১১টার দিকে পাগলাপীর বাজারের গোল চত্ত্বরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন এলাকাবাসী।
উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠানে হরিদেবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন লিখনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মৃত মাদ্রাসার ছাত্র শাহিনুরের পিতা- শাহ আলম, সমাজ সেবক রফিকুল ইসলাম, ইউপি সদস্য শওকত হোসেন যাদু, চান মিয়া, আবু হেনা মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, সৈয়দ আব্দুর রাসেল, হাফেজ হাবিবুর রহমান ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।
উপস্থিত বক্তরা বলেন কোন কারণে নিস্পাপ বালক শাহিনুরকে হত্যা করা হয়েছে? দুটি পক্ষের কেউ নাকি তৃতীয় পক্ষ? তবে মাষ্টার মাইন্ড আসামীকে ? কারা কারা, কতজন জড়িত ? হত্যাকান্ডটির নেপথ্য কারণ কী কী হতে পারে? নতুন চালু হওয়া হাফিজিয়া মাদরাসাটির কার্যক্রম শুরুতেই শেষ করার জন্যই কী এ জঘন্যতম হত্যাকান্ড? শিক্ষার্থী শুন্য করে ফেলার কি গোপন মিশন ছিল শাহিনুর ইসলাম হত্যাকান্ড? আমরা জানি না। তবে এতটুকু জেনেছি, শাহিনুর ইসলাম (১২) হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করতে কয়েকটি ক্লু নিয়ে মাঠে কাজ করছে পুলিশ।
এরমধ্যে কমিটি গঠন কেন্দ্রিক দ্বন্দ্ব, শিক্ষকদের মধ্যে কোন্দল,ছাত্রদের মাঝে বিরোধ এবং উপার্জিত টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বকে প্রধান্য দেয়া হয়েছে। এর আগে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে মাদরাসাটির মোহতামিম হাফেজ সাইফুল ইসলাম জিহাদী, শ্রেনি শিক্ষক নিয়ামুল ও বহিস্কৃত শিক্ষক ক্কারী আবু সাঈদকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছিল। তাদের দুইদিনের রিমান্ডে নিয়ে যেসব তথ্য পেয়েছে তাও যাচাই বাছাই করছে পুলিশ।
মৃতঃ শাহিনুরের পিতা- শাহ আলম জানান, আমার সন্তান চলে গেছে। কেন আমার মাছুম বাচ্চাকে হত্যা করা হলো? এটা কারা করেছে? আমি দোষীদের বিচার চাই। তাদের নাম জানতে চাই। অনেকেই অনেক কথা বলে। আমার মাথা কাজ করছে না। আমি ন্যায় বিচার চাই।
সদর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, হত্যার ক্লু বের করার জন্য পুলিশ দিনরাত কাজ করছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই হত্যাকান্ডের ক্লু বের হয়ে আসবে। মেনে নিতে পারিনি। শুরুতে ৮জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবদ করা হয়েছিল। তিনজনকে রিমান্ড আবেদন করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রধরে আমরা তদন্তের কাজ করছি। সব কথা বলা যায় না। তবে আমি কথা দিচ্ছি, শাহিনুর ইসলাম (১২) হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতরা কেউ রক্ষা পাবে না।
তারা যারাই হোক আইনের আওতায় আসতে হবে।বক্তারা, নিস্পাপ বালক শাহিনুর হত্যাকান্ডের মাষ্টার মাইন্ড আসামীকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। গত ১৬ মে সদর উপজেলার পাগলাপীর এলাকার মডেল মসজিদের পাশের আখ ক্ষেত থেকে বালক শাহিনুরের (১২) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।