নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে কোটি কোটি গ্রাহক,বিকাশ,নগদ, রকেট এর আ্যপসের প্রতারকের শিকার গ্রাহক।
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে কোটি কোটি গ্রাহক,বিকাশ,নগদ, রকেট এর আ্যপসের প্রতারকের শিকার গ্রাহক।
মোঃ শাকিল আহমেদ, শ্রীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের তেলিহাটি গ্রামের
মোঃ সহিদুল ইসলামের বিকাশ একাউন্ট টি হ্যাক করে ১৫ হাজার ৩০০ টাকা নিয়ে যায় বিকাশ প্রতারক চক্র
শনিবার (১২ আগষ্ট ২০২৩ইং) সকাল১১:৩৬ মিনিটের সময়
বিকাশ একাউন্ট টি হ্যাক হয়
তেলিহাটি গ্রামের বি,বি,এস, ক্যাবলস লিঃ কোম্পানিতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকুরী করেন ভুক্তভোগী। জানাযায় মোঃ সহিদুল ইসলাম নামের ভুক্তভোগী কোম্পানিতে ডিউটি রত অবস্থায় ছিলেন।
১১ তারিখ শুক্রবার ভুক্তভোগীর বিকাশে ওনার পরিচিত একজন ১ হাজার টাকা পাঠায়।
সেই সুত্র ধরেই শনিবার সকাল ১১ টায় প্রতারক চক্র কল করে বলেন ভুক্তভোগী কে
আপনার ফোনে গতকাল ১ হাজার টাকা কাল পাঠিয়েছিলাম একটু একাউন্ট চেক করে দেখুন ভুলে টাকা বেশি চলে গেল কি না।
আমার কাছে তো টাকার হিসাব মিলছে না কোন নাম্বারে যেনো বেশি টাকা পাঠিয়ে দিয়েছি।
ভুক্তভোগী মোঃ সহিদুল ইসলাম প্রতারক কে জানান উনার একাউন্টে বেশি কোনো টাকা আসেনি ।তখন প্রতারক চক্রের ঐ সদস্য ভুক্তভোগীকে বলেন আপনার নাম্বার সহ ৫ জনের বিকাশ নাম্বার বিকাশ অফিসে দিয়েছেন। বিকাশ অফিস থেকে ফোন দিয়ে সঠিক তথ্য নিবে।
এই বলে ফোন কেটে দিলেন, ফোন কাটার সাথে সাথে একটি কল আসেন। ভুক্তভোগীকে বলা হয় আপনার একাউন্ট টি বন্ধ করা হয়েছে এখনি চালু করা হবে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন একটি কোড যাবে কোড টি দিন এই বলে একটি কোড পাঠায়।
কোডটি জানতে চাইলে ভুক্তভোগী কোডটি বলেন
চক্রের সদস্য বলেন।
১৫ হাজার টাকা বিকাশে ভরলে একাউন্ট টি চালু হবে।
ভুক্তভোগী বললেন আমার কাছে তো টাকা নেই, তখন চক্রের সদস্য বললেন আপনি একটি বিকাশের দোকানে যান এরপর আপনার একাউন্টে টাকা ভরবেন একাউন্ট চালু হলে আবার দোকানদার কে ঐ টাকা পাঠিয়ে দিবেন। ভুক্তভোগী টাকা একাউন্টে জমা করলেন,১১:৩৬মিনিটের সময় এরপর চক্রের সদস্য বললেন আপনার একাউন্ট ঠিক করে দিচ্ছি কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার পিনকোড টি বলুন। ভুক্তভোগী পিনকোড বললেন,এরপর ফোন টি কেটে দিলেন চক্রের সদস্য
ভুক্তভোগী মোঃ সহিদুল ইসলাম বিকাশ একাউন্ট চেক করে দেখলেন ব্যালেন্স চার টাকা রয়েছে।
ব্যালেন্স দেখে ভুক্তভোগী হত ভঙ্গ হয়ে গেলেন। তবে অবাক করা বিষয় হলো,সেন্ডমানি বা ক্যাশ আউট,এর কোনো মেসেজ আসেনি। ভুক্তভোগীর ছোট ছেলে মোঃ শাকিল আহমেদ কে বিষয়টি জানালে মোঃ শাকিল আহমেদ তাৎক্ষণিকভাবে প্রতারক চক্রের সদস্য দোকানদার সেজে কল দিয়েছিলেন ঐ নাম্বারে কল করেন কলটি রিসিভ ও হয় তখন তিনি ধারনা কৃত একটি নাম ধরে ডাকেন, বলেন শরিফ ভাই,, উত্তরে বলেন,কি, শাকিল বলেছেন, কোথায় আছেন, চক্রের সদস্য বলেন, এখন বলা যাবে না,এই বলে ফোন কেটে দেয়। তাৎক্ষণিক ,শাকিল জরুরি সেবা ৯৯৯ নে কল করে বিষয়টি জানালে জরুরি সেবা সেন্টার থেকে জানায়,৩৩৩ তে কল দিয়ে সেবা নেওয়ার জন্য। শাকিল ৩৩৩ তে কল দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং বলেন নাম্বার টি ট্রেকিংয়ে ফেলার জন্য,আবারো জরুরি সেবা ৩৩৩ সেন্টার জানায় থানায় গিয়ে মামলা করার জন্য বলে ফোনটি কেটে দেন।
ভুক্তভোগী মোঃ সহিদুল ইসলাম সকাল ০৮:০০ ডিউটিতে গিয়েছিলেন রাত ০৮:০০ টায় ডিউটি সেষ করে এসে বিকাশের দোকানের টাকা পরিশোধ করেন।
এর দুইদিন পরে রবিবারে ভুক্তভোগীর ছেলে শাকিল আহমেদের মনে পরে বিকাশ সেবা সেন্টারের কথা। আনুমানিক রাত, সারে এগারোটার পর বিকাশ জরুরি সেবা সেন্টারে বিষয়টি নিশ্চিত করলে, বিকাশ সেন্টার সকল তথ্য জাচাই করে বিষয়টি দেখেন লেনদেন হয়েছে।
এবং অভিযোগ জমা নেন তবে যেই একাউন্টের কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি বিকাশ জরুরি সেবা সেন্টার,। জরুরী সেবা সেন্টারকে জিজ্ঞেস করেন শাকিল ,আমরা কি এই বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলা করবো। বিকাশ জরুরি সেবা সেন্টার বলেন, এস,এম,এস এর মাধ্যমে জানানো হবে।
এর পরেও কিছু কথা থেকে যায় আ্যপস এর মাধ্যমে হচ্ছে প্রতারণা,বিকাশ, নগদ, রকেট এই ধরনের বড় বড় কোম্পানি গুলো যদি। ভেরিফিকেশন কোড ট্রান্সফারের মাধ্যমে যদি অ্যাপস ভেরিফাই করা যায় তাহলে তো, নিরাপত্তা বলতে কিছুই থাকলো না।
অটো ভেরিফাই এর মত যদি সিস্টেম কোম্পানি না করতে পারে তাহলে কোন গ্রাহকেই নিরাপদ নয়।
প্রতিনিয়তই ঘটছে এরকম ঘটনা অনেকেই হয়েছে এরকম ভুক্তভোগীর শিকার
তবে কি এরকম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে কোটি কোটি গ্রাহ